বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা নেই এতোটুকুও। তাই ছেলের মৃত্যুর পরেও, টানা ৪ দিন একই ঘরে ছেলের সঙ্গে থাকলেন বাবা! অবশেষে দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দিলেন প্রতিবেশীরা। এরপর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘর থেকে মৃত ছেলের দেহ উদ্ধার করল, তখন কথা বলার মতো অবস্থায়ও ছিলেন না বছর বিরাশির ওই বৃদ্ধ বাবা। এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের মোহালি শহরে।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের নাম বলবন্ত সিং। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী তিনি। বিএসএনএল-এ চাকরি করতেন। পঞ্জাবের মোহালি শহরের ফেস ওয়ান এলাকায় থাকেন বলবন্ত। সন্তান নেই, স্ত্রীও প্রয়াত হয়েছেন আগেই। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাত্র তিন বছর বয়সে বোনের ছেলে সুখবিন্দরকে দত্তক নিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। বাবা-ছেলে একইসঙ্গে থাকতেন।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। প্রথমে সেভাবে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি প্রতিবেশীরা। এরপরই খবর দেওয়া হয়, বলবন্তের ভগ্নিপতি কমলপ্রীতকে। বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। এরপর ভগ্নিপতি এসে বাইরে থেকে বেশ কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দেন, ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কারও সাড়া পাননি।
এরপরই থানায় খবর দেন কমলপ্রীত ও প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকে পুলিশ। এরপরই দেখা যায়, একটি ঘরে পাশাপাশি দুটি বিছানা। একটি বিছানায় শুয়ে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা বলবন্ত, আর পাশের খাটে পড়ে রয়েছে ছেলে সুখবিন্দরের নিথর দেহ। এর মধ্যেই সুখবিন্দরের দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃদ্ধ বলবন্তের কথা বলার ক্ষমতা নেই। চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু দেখে, তিনি মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁকে যা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এ জবাব দিচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সুখবিন্দরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাবা বলবন্তও হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্তকারী অফিসার পল সিং জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তের পর সুখবিন্দর সিংহের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে মনে হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই মারা গিয়েছেন তিনি। বলবন্ত সিং বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।’