বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নদী একেবারে টইটুম্বুর। জলের গভীরতা রয়েছে, স্রোতও রয়েছে। সেই একবুক জলের মধ্যেই নদী পার করছেন ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি। এটা কোনও বন্যা পরিস্থিতি নয়, স্বাভাবিক সময়ে এভাবেই নদী পার করতে হয় এই জেলা। জেলার নাম মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার এক গ্রামের ঘটনা। এখানে নদী পারাপারের কোনও সেতু নেই।
এই গ্রামেরই একটি ঘটনা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বাঁশ ও কাপড়ের তৈরি স্ট্রেচারে নিয়েই নদী পার করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সামান্য চিকিৎসা পরিষেবা, যা সবার মৌলিক অধিকার। আর সেই অধিকার পেতেই এখানকার মানুষদের জীবন হাতে করে চলতে হয়। চিকিৎসার জন্য বিপজ্জনকভাবে নদী পারাপার করছেন বেতুল জেলার বাসিন্দারা।
ঘটনাটি বুধবারের। জানা গিয়েছে, ওইদিন বেতুলের বাসিন্দা এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রসব বেদনা ওঠে, কিন্তু যাতায়াতের রাস্তা বড়ই দুর্গম। নদী পারের জন্য নেই কোনও সেতু। বাধ্য হয়েই তখন ওই মহিলাকে নিয়েই নদী পারাপারের সিদ্ধান্ত নেন গ্রামের বাসিন্দারা। খাটে মহিলাকে শুইয়ে কাঁধে নিয়ে নদী পার করে শাহপুর শহরে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামের বাসিন্দারা। নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা মহিলাকে হাসপাতালে ভরতি করেন।
এদিকে, বেতুলের বিএমও ডঃ গজেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘যেহেতু নদীতে বেশি জল ছিল কিছু ব্যক্তি মহিলাকে খাটে করে নদী পারাপার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরকম পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝেই এরকম হয়। তবে এখানে একটি সেতু থাকলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব।’ অন্যদিকে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিয়ে নদী পারাপারের এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে, ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি একবুক জল নিয়ে নদী পেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের কাঁধে খাট। উল্লেখ্য, ওই গ্রামের বাসিন্দারা প্রায়শই এমন ঘটনার সম্মুখীন হন। গ্রামবাসীরা সেতুর জন্য আবেদন করলেও, সেই আবেদন গুরুত্ব পায়নি।