বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভূস্বর্গ ফের গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার নিশানা করা হচ্ছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি আবারও একবার নয়ের দশকের সেই ভয়াবহ সময় ফিরে আসতে চলেছে? এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীও বদ্ধপরিকর ভূস্বর্গকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে চলা টানা ১১ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পর পুলওয়ামায় নিকেশ করা হল ৩ লস্কর জঙ্গিকে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে ৬ টা ৫৫ মিনিটে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার দ্রাবগাম গ্রামে অভিযান শুরু হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনা এবং সিআরপিএফ- এর যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই ১১ ঘণ্টা চলার পর ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় কিছু সন্ত্রাসবাদীর লুকিয়ে থাকার গোপন খবর ছিল। সেই খবরের ভিত্তিতেই যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
এদিকে, বাহিনীর উপস্থিতি টের পাওয়ার পরই, জঙ্গিদের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। এরপর পাল্টা জবাব দেওয়া হয় বাহিনীর পক্ষ থেকেও। এরপর টানা ১১ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পর তিন লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই স্থানীয় বাসিন্দা। এরা প্রত্যেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার হয়ে কাজ করত।
নিহত তিনজনের মধ্যে একজনকে জুনাইদ শিরগোজরি হিসেবে শনাক্ত করেছে কাশ্মীর পুলিশ। এই জঙ্গিই গত ১৩ মে রিয়াজ আহমেদ নামে এক পুলিশ কর্মীকে খুন করেছিল। কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, বাকি দুই জঙ্গির নাম ফাজিল নাজির ভাট ও ইরফান মালিক। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে দু’টি একে-৪৭ ও একটি পিস্তল-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসে কমপক্ষে ১০ জঙ্গিকে খতম করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তারপরেও উপত্যকায় জঙ্গি উপদ্রব লেগেই রয়েছে। বারবার নিশানা করা হচ্ছে অমুসলিম, পরিযায়ী শ্রমিক বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। এক মাসের মধ্যে জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন এক শিক্ষিকা-সহ দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত। এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। বিগত কয়েক দিনের মধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গি কমান্ডারকে। চলতি বছরের জুন মাসেই শ্রীনগরে খতম করা হয়, লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে।