থানার মধ্যে শুরু হয়েছিল কালীপুজো। কিন্তু থানা সরে গিয়েছে বহু বছর। সেই থানার জায়গায় এখন তৈরি হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। এদিকে সরে গিয়েছে পুজোও। কিন্তু পুরনো থানা যা এখন পুলিশে পরিণত হয়েছে যেখান থেকে সরানো যায়নি প্রতিমাকে।
কথিত আছে, ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন খরবা থানা অধুনা খরবা পুলিশ ফাঁড়িতে শুরু হয়েছিল কালীপুজো। তবে এরপর এই থানা সরে এসেছে মালদার চাঁচলে। আর খরবা থানা এখন পরিণত হয়েছে পুলিশ ফাঁড়িতে। শোনা যায় ১৯৭২ সালে পুজোকে চাচল থানায় সরিয়ে নিয়ে আসলেও এখনো সরানো যায়নি কালী প্রতিমাকে। প্রতিবছর দীপান্বিতা আমাবস্যায় খরবা ফাঁড়িতে আরাধনা হয় দেবীর।
এখানে দেবী পূজা হয়ে আসছেন দক্ষিণা কালী রূপে। একসময় পশু বলি প্রথা থাকলেও সে প্রথা এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। গোটা মন্দির চত্বর জুড়ে পড়ছে নতুন রংয়ের প্রলেপ। সেজে উঠছে এলাকা।
আপাতত এখানের পূজোর দায়িত্ব পালন করেন মহিলারা। তাদের উদ্যোগেই এখানের পূজো চলছে সারম্বরে। চাঁচল থানার পূজো এখন মূলত মহিলা আবাসন পুজো বলেই সর্বজনবিদিত। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় হয় এই পুজো দেখার জন্য।