কালী ঠাকুরের ভোগ হিসেবে মাছ-মাংসের চল রয়েছে। কিন্তু ইডলি, সাম্বার দিয়ে কালী ঠাকুরের পুজো, শুনেছেন কখনো? শুনতে অবাক লাগলেও শিবপুরের ওলাবিবিতলার হাজার হাত কালী মা কিন্তু তামিল ভোগেও সন্তুষ্ট হন। শোনা যায় শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে দেবী তামিল ভোগ-খান।
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তান্ত্রিক ভক্ত আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। সন্ধির এই হাজার হাতের রূপ তৈরি করার জন্য তিনি আদেশ পান স্বপ্নে। সেই মতোই মন্দির তৈরি করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও সামর্থ্য ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষের। পরবর্তীকালে স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে ১৮৮০ সালে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠিত হয় হাজার হাত কালী মন্দির।
এই মন্দিরে বলি প্রথার প্রচলন ছিল না কখনোই। ১২ ফুটের মতো উচ্চতার দেবী গাত্র বর্ণ সবুজ। দেবীর বাঁ হাতে রয়েছে খর্গ আর ডান হাতে পঞ্চসূল। দুই কাঁধে রয়েছে দুই সর্প ফনা এবং মাথায় মুকুট দেবীর হাতে বলয়, কানে কানপাশা। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারই বংশানুক্রমে এই মন্দিরের সেবায়েতের কাজ করে আসছেন।
এদিকে শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয় বরং দক্ষিণ ভারতেও যথেষ্ট জনপ্রিয় এ কালীমন্দির। এই মন্দিরের বিশেষত্ব শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে শুক্রবার তামিলনাড়ু থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে। সেই দিন এই হাজার হাত কালী ঠাকুরের ভোগ হিসেবে থাকে টক ভাত, ঝাল ভাত, মিষ্টি ভাত, সাম্বার, বড়া, দই ভাত, ঝুড়ি ভাজা, মোরব্বা।