রাত পোহালেই গণেশ চতুর্থী। সারা দেশ মেতে উঠবে গণপতির পুজোয়। গণেশ চতুর্থী হিন্দু উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম। এই দিনটিকে ভগবান গণেশের জন্মদিন হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাই প্রতি বছর ধুমধাম করে পালিত হয় এই দিনটি। এবারও গণেশ চতুর্থীর আয়োজনে তৈরি হচ্ছে গোটা দেশ।
প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এটি বিনায়ক চতুর্থী নামেও পরিচিত। এই বছর গণেশ চতুর্থী পড়ছে ৩১ অগাস্ট বা ১৪ ভাদ্র, বুধবার । আর পুজো ও পার্বণের সঙ্গে জড়িয়ে তিথিরও ৷ পূণ্যতিথিতে শুভক্ষণে পুজো করলে গণপতি তুষ্ট হন।
গণেশ পুজোর শুভ মুহুর্ত
গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে, চতুর্থী তিথি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার দুপুর ২ টো ৪১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে ৷ এই পুণ্যতিথি থাকবে বুধবার দুপুর ২টো ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড পর্যন্ত ৷ অন্যদিকে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনু্যায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে ৩৫ মিনিটে চতুর্থী শুরু হচ্ছে ৷ থাকবে বুধবার দুপুর ৩ টে ২৩ মিনিট পর্যন্ত ৷
অমৃত যোগ: সকাল ০৭টা ০৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত
শুভ যোগ: সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত
গণেশ পুজোর নিয়মাবলী
সিদ্ধিদাতার পুজোতে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। কথিত রয়েছে, এই দিনে হলুদ, নারকেল, মোদক, সুপারি, গাঁদা ফুল, কলা ইত্যাদি নিবেদন করলে গণপতি প্রসন্ন হন। ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
গণপতির আরাধনার প্রথম পর্ব হল প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্রপাঠ সহকারে আহ্বান ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা ৷ এই পর্বের পর গণপতিকে উৎসর্গ করা হয় ভোগপ্রসাদ ৷ তার পর আরতি করে গণপতিকে গৃহে স্বাগত জানানো হয় ৷ এরপর ষোড়শ অর্থাৎ ষোলটি উপচার বা অর্ঘ্য নিবেদন করে পুজো করা হয় ৷ ভগবান গণেশের পূজার সময়, তাঁর কাছে সিঁদুর লাগান এবং তাঁর প্রিয় ভোগ মোদক বা লাড্ডু নিবেদন করুন। পূজা শেষে আরতি করে গণেশের পূজা করুন এবং তাঁর ক্ষমা প্রার্থনা করুন। শেষে প্রসাদ বিতরণ করুন।
গণপতি বিগ্রহের পদসেবা করা হয় ৷ পা ধুইয়ে তাঁকে ঘি, দুধ, মধু, দই ও চিনি দিয়ে স্নান করানো করা হয় ৷ একে বলা হয় ‘পঞ্চামৃত স্নান’৷ তারপর স্নানার্ঘ্য হিসাবে সুবাসিত তেল ও গঙ্গাজল দেওয়া হয় ৷ তার পর বিগ্রহকে ফুলের মালা, নতুন বস্ত্র ও চন্দনলেপনে সাজানো হয় ৷ উৎসর্গ করা হয় ফুল ও দূর্বাঘাস। গণপতি আরাধনার আরেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ‘উত্তরপূজা’৷ ভক্তরা চাইলে দেড় দিন, তিনদিন, সাত দিন অথবা ১০ দিনও উৎসব করতে পারেন।