দৌড়গোরায় এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছর আমরা যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি আর সঙ্গে পেট পুজো। পুজোতে ঘোরাঘুরির সাথে সাথে জমিয়ে পেটপুজো কিন্তু হওয়ায় চাই। আর আমরা বাঙালিরা তো একটু পেটুক তা বলাই চলে।
দুর্গাপুজোর নবমীর দিন প্রায় ৯৯ শতাংশ বাড়িতে মাংস হয়েই থাকে। ১ শতাংশ ব্যাতিক্রম থাকতে পারে। তবে প্রায় বাড়িতেই দুপুরে স্পেশাল মেনু থাকে খাসির মাংস। পুজোর প্রথম কটা দিন নিরামিষ খাওয়া-দাওয়া হলেও এই দিনটি আমিষ খাওয়ার দিন। তাই আজ রইল নবমী স্পেশাল সুগন্ধী পোলাও।
দুর্গাপুজোর নবমীর দিন মাংসের দোকানগুলিতে প্রায় ভোর থেকেই লাইন পরে যায়। এদিন মাংসের দামও অন্যদিনের তুলনায় একটু বৃদ্ধি পায় বলা চলে। তবে দাম বৃদ্ধি পেলেও এদিন একটু হলেও খাসির মাংস খেয়েই থাকে আমজনতা। তাই দিনে খাসির মাংস হলে রাতে চিকেন হওয়ায় ভালো। ার চিকেন কি দিয়ে খাবে? চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক আজকের নবমী স্পেশাল চিকেনের সাথে রাখুন সুগন্ধী পোলাও।
সুগন্ধী পোলাও তৈরি করতে যা যা লাগবে - ২ কাপ বাসমতী চাল, ২ টি পেঁয়াজ কুচি, ১ টেবিলচামচ গরম মশলা, গুঁড়ো, কাজুবাদাম ও কিসমিস কুচি, গরম দুধে ভেজানো এক চিমটে জ়াফরান, স্বাদমতো নুন ও চিনি, প্রয়োজন মত ঘি।
রন্ধন প্রণালী - প্রথমে ৩০ মিনিট ভিজিরে রাখুন। তারপর হাড়িতে জল, নুন ও ঘি দিয়ে চাল দিয়ে দিন। পোলাও এর জন্য যেমন শক্ত ভাত রাখতে হবে সে রকম ভাত করে ফ্যান ঝরিয়ে কাপড়ে মেলে ঠান্ডা করে নিন। এবার কড়াই-এ ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে এলে গরম মশলা গুঁড়ো দিন।
তারপর করে রাখা ভাত দিয়ে দিন। এরপর ভালো করে ভাজুন। তারপর একে একে কাজুবাদাম, কিসমিস কুচি দিয়ে দিন, স্বাদ মতো নুন ও চিনি দিন। ভাআল করে নুন, চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি গুঁড়ো করে রাখলে বেশি ভালো। সবশেষে গরম দুধে ভেজানো জ়াফরান দিয়ে নামিয়ে নিন। তাহলেই রেডি আজকের স্পেশাল রেসিপি সুগন্ধী পোলাও।