দৌড়গোরায় এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছর আমরা পুজোর দিনগুলির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি, পেট পুজো আর সাজগোজ। পুজোর ৪-৫ টা দিন আমরা আনন্দে মেতে উঠি। আর মনখুলে সেজে গুজে ঘুরে বেড়ায়। এই কটা দিন কোনো বেড়াজাল প্রায় থাকে না বললেই চলে, মনখুলে আনন্দ করা যায়।
তাই বছরে একবার পুজোর ৫ টা দিন একটু অন্যরকম সাজগোজ তো খুবই দরকার। এই পুজোয় আপনি হয়ে উঠুন সবার থেকে আলাদা ও অনন্য। তাই আপনার যদি ভুঁড়ি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে আজ থেকেই ভুঁড়ি কমানোর জন্য চেষ্টা শুরু করে দিন। কারণ পুজো এখনও কিছুদিন বাকি। তবে কীভাবে ভুঁড়ি কমাবেন? তারজন্য রইলো এক দারুন টিপস, চলুন দেখে নেওয়া যাক..
চুল থেকে ত্বক সবই পেঁয়াজের ব্যবহারে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। পেঁয়াজ পেটের রোগ সারাতে এমনকি সর্দিকাশি কমাতেও বিশেষ উপকারী। আবার কোথাও কেটে-ছরে গেলে পেঁয়াজের রস রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয় খুব সহজেই। কিন্তু মজা হচ্ছে যদি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পেঁয়াজের রস খাওয়া যায় তাহলে তরতরিয়ে কমে যাবে ভুঁড়ি।
উল্লেখ্য পেঁয়াজে অন্টি অক্সিডেন্ট - এ ভরপুর। যা বিপাকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আর ভাল হজমশক্তি মানেই হল ভাল স্বাস্থ্য। পেট খালি অবস্থায় যদি পেঁয়াজের রস খাওয়া যায় তাহলে দ্রুত শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে যাবে। বেলি ফ্যাট কমাতেও বেশ ভালো। তাই অতিরিক্ত মেদ যদি চটজলদি ঝরাতে চান তাহলে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস করে কাঁচা পেঁয়াজের রস খান।
অন্যদিকে যে সকল মানুষের গ্যাস্ট্রিক সিন্ড্রোম আর কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাঁদের জন্যও পেঁয়াজ খুবই উপকারী। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা পেট পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। এছাড়া মৌমাছি, কিংবা বোলতা কামড়ে দিলে পেঁয়াজের রস লাগাতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।