বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০০ কোটি টাকার তোলাবাজি মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল বলিউডের অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। সে সময় জানা গিয়েছিল, এই মামলায় অন্যতম প্রধান সাক্ষী তিনি। এবার ইডি-র চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে পাওয়া গেল অভিনেত্রীর নাম।
এদিকে, আদালত এখনও এই চার্জশিট গ্রহন না করায়, এখনই অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে, এই মুহূর্তে তাঁকে দেশের বাইরে ভ্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়াও হবে না। উল্লেখ্য, আগেই জানা গিয়েছিল যে, অভিনেত্রী জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে অনেক দামি গয়না, বিলাসবহুল গাড়ি এবং দামি উপহার পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি জেলে থাকাকালীন সুকেশের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগও উঠেছে এই বলিউড অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
এর আগে বেশ কয়েকবার ইডি জ্যাকলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কিন্তু সেইসব জেরায় জ্যাকলিন সবসময় বলেছেন যে, তিনি এই মামলার একজন সাক্ষী মাত্র। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর ম্যানেজার বলেছিলেন যে, জ্যাকলিনের ২০১৭ সালে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। সুকেশ চন্দ্রশেখর জ্যাকলিনকে বলেছিলেন যে, তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।
ইডি-র চার্জশিট অনুযায়ী, জ্যাকলিন ইডিকে বলেছেন, ‘আমি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সুকেশের সঙ্গে কথা বলছি। ২০২১ সালের অগস্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারপরে আমি আর তার সঙ্গে দেখা করিনি। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি সান টিভির মালিক এবং জয়ললিতার পরিবারের সদস্য’। পাশাপাশি বলিউড অভিনেত্রী ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে উল্লেখ করেছেন, তাঁর বোন চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে দেড় লক্ষ ডলার লোন নিয়েছিলেন এবং এও স্বীকার করেছেন যে, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী তাঁর ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেছেন।
অন্যদিকে, এর আগে, ইডি জ্যাকলিনের ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। জ্যাকলিন যে বিলাসবহুল উপহার পেয়েছেন, সেসবের মধ্যে রয়েছে হিরের কানের দুল, ব্রেসলেট, বার্কিন ব্যাগ, লুই ভিটনের জুতো, গুচি ও চ্যানেলের ডিজাইনার ব্যাগ, গুচি পোশাক এবং একটি মিনি কুপার গাড়ি।
জ্যাকলিন এবং সুকেশের অন্তরঙ্গ ছবি অনলাইনে ফাঁস হওয়ার পরেই এই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, তা স্পষ্ট করে চন্দ্রশেখর একটি হাতে লেখা নোট প্রকাশ করে বলেছিলেন, “যেমন আমি আগেই বলেছি, জ্যাকলিন এবং আমি একটি সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম। একে অপরকে দেখা এবং সম্পর্কটি কোনও ধরণের আর্থিক সুবিধার উপর ভিত্তি করে ছিল না। সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা ছিল। কিন্তু পরস্পরের প্রতি কোনও প্রত্যাশা ছিল না। আমি তাকে নানা জিনিস উপহার দিয়েছি এবং তাঁর পরিবারের জন্য কিছু করেছি, সম্পর্কের মধ্যে একজন তার প্রিয়জনের জন্য যা করতে পারে সেটাই করেছি, এটা স্বাভাবিক। এটি ব্যক্তিগত, আমি বুঝতে পারছি না কেন এটি অন্যভাবে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে আমি আবার জানাতে চাই যে এর কোনোটিই ‘তথাকথিত অপরাধের আয়’ নয়। এটি সবই বৈধ উপার্জন থেকে এবং এটি খুব শীঘ্রই আইনের আদালতে প্রমাণিত হবে”।