বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন টালিগঞ্জের একাধিক তারকা। উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যও। বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী অপরাজিতা। অভিনেত্রীর সেই ছবি দেখেই বেজায় চটেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
সিনেমা হোক কিংবা ছোটপর্দার ধারাবাহিক, নিজের সাবলীল অভিনয় দক্ষতার গুণে বরাবর দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন অপরাজিতা। এমনকি তাঁর প্রাণখোলা হাসি ও পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ সকলের ভালো লেগেছে। তবে, এবার একটি ছবি পোস্ট করার জন্যই রীতিমতো কুমন্তব্যের শিকার হতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে।
বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে ছিল রাজ্য সরকার আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী, তারকা বিধায়ক থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন টলিউডের তারকারাও। সেই তারকাদের দলে ছিলেন অপরাজিতাও। ঐ বিজয়া সম্মিলনীতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি তোলেন অপরাজিতা। তার মধ্যে একটি ছবি খুবই অন্তরঙ্গ। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ পছন্দ করেন অপরাজিতাকে।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ অপরাজিতা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। আর মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, তিনি সব সিরিয়াল দেখেন, অতএব বোঝাই যাচ্ছে যে, পর্দার লক্ষ্মী কাকিমাকে বেশ পছন্দ করেন তিনি। তবে, শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, আরও অনেকের সঙ্গেই ছবি তোলেন অভিনেত্রী। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু সেইসব ছবি পোস্ট করতেই যত বিপত্তি। সন্ধের রেশ মনে নিয়ে রাতের দিকে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি পোস্ট করতেই কমেন্ট বক্সে কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায়।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় অপরাজিতা। লক্ষ্মী কাকিমার সেট থেকে প্রায়ই রিল শেয়ার করেন অপরাজিতা। ছবিও পোস্ট করে থাকেন। সেই সব ছবি অনুরাগীদের ভালোবাসা পেলেও, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছবি দেখে বিন্দু মাত্র খুশি নন, তাঁরই অনুরাগীদের একাংশ। সেটা কমেন্ট বক্সের মন্তব্য দেখেই বোঝা যায়। তবে, এর মধ্যেই কয়েকজন আবার ভালোবাসাও জানিয়েছেন। কিন্তু নেতিবাচক মন্তব্যই বেশি। অনেকেই লিখেছেন, ‘আপনাকে অন্যরকম ভাবতাম। আপনাকে ভালোলাগত, আনফলো করলাম।’
আবার আর এক নেটিজেন লেখেন, ‘একটা সন্ধ্যা যদি ওখানেও কাটাতেন যেখানে চাকরিপ্রার্থীরা ৫৭৮ দিন ধরে ধর্ণা দিচ্ছে’। অপর একজন লেখেন, ‘আপনাকে ঠিকঠাক ভেবেছিলাম। আপনিও চটি চাটার দলে নাম লেখালেন। ঠিকই আছে,ভেড়ার পাল সব একদিকেই যায়। একজন যেখানে যায়, সবাই তাকেই ফলো করে।’ এখানেই শেষ নয়, এক ব্যক্তি লেখেন, ‘পরের বারের ভোটের টিকিট কনফার্ম। রাজ্যের শিক্ষার এই বেহাল দশা একজনের জন্য তার সাথেই এইসব। ভালো ভাবতাম। শিক্ষিত ভাবতাম আগে।’