বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মৃত্যুর পরেও মহাকাশে নক্ষত্র হয়ে একপ্রকার উজ্জল টলি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সত্যিই যেন ‘আকাশের তারা’ তিনি। সম্প্রতি অভিনেতার নামে একটি নক্ষত্রের নামকরণ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর একটি সংবাদমাধ্যমে একথা জানিয়েছেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা।
জানা গিয়েছে, একটি মার্কিন সংস্থার উদ্যোগে এই প্রথম কোনও টলিউড অভিনেতার নামে নক্ষত্রের নামকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিষেকের শেষ ছবি ‘পঞ্চভুজ’-এর প্রযোজক সৌমেন চট্টোপাধ্যায়েরও অনেক কৃতিত্ব রয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল অভিনেতার নামে নক্ষত্রটির নামকরণ করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত স্ত্রী সংযুক্তা ও মেয়ে ডলের হাতে শংসাপত্র এসে পৌঁছায়নি। তবে তার ছবি পেয়ে গিয়েছেন সংযুক্তা। জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার নজরুল তীর্থে এই শংসাপত্র তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ওই মার্কিন সংস্থার দাবি, আকাশের উজ্জ্বল তারা হয়েই জ্বলবেন অভিষেক চ্যাটার্জি। তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে এভাবেই আগলে রাখবেন তিনি। পুরো বিষয়টিতে উচ্ছ্বসিত সংযুক্তা চ্যাটার্জী। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “কেউ চিরবিদায় নিলে আমরা বলি আকাশের তারা হয়ে গিয়েছে। অভিষেকের ক্ষেত্রে সেই কল্পনা সত্যি হল। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? আমি জানি, অভিষেকও খুব খুশি হয়েছে।”
গত ২৪ মার্চ সকালে পাওয়া একটি দুঃসংবাদে থমকে গিয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্র জগত। বিখ্যাত টলিউড অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী আর নেই! তার আগেরদিন মধ্যরাত্রে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেতা। মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিষেক। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বামীকে হারিয়ে শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়েন সংযুক্তা। অন্যদিকে মাত্র ১২ বছর বয়সেই পিতৃবিয়োগে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন কন্যা সাইনা ওরফে ডল।
১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘পথভোলা’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন অভিষেক। ‘অমর প্রেম’, ‘হারানের নাতজামাই’, ‘পাপী’, ‘লাঠি’, ‘সংঘর্ষ’, ‘মায়ের আশীর্বাদ’, ‘আলো’, ‘নীলাচলে কিরীটী’, ‘মেজো বউ’, ‘সিঁথির সিঁদুর’, ‘বাবা কেন চাকর’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। রুপোলি পর্দার পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দায়ও দেখা গিয়েছে তাঁকে। অভিনয় করেছেন ‘চোখের তারা তুই’, ‘টাপুর টুপুর’, ‘আঁচল’, ‘ইচ্ছেনদী’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’ ইত্যাদি ধারাবাহিকে।