ফের বড়সড় বদল আনা হলো প্রাথমিক টেটে বসার যোগ্যতা মানের ক্ষেত্রে। পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তি। কে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১০ সালে ২৩ আগস্ট এর আগে যারা স্নাতক এবং বিএড পাস করেছে তাদের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসার জন্য স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই নিয়ে তৃতীয়বার টেট পরীক্ষার্থীদের যোগ্যতা মানে পরিবর্তন করা হলো।
নতুন জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট এর আগে যারা বিএড এবং স্নাতক পাস করেছে তাদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই চলবে। এক্ষেত্রে জেনারেলদের জন্য ৪৫ শতাংশ নম্বর এবং সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর পেলেই তারা পরীক্ষায় বসতে পারবে। তবে অন্যান্য যে সমস্ত যোগ্যতার মান রয়েছে সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে।
চলতি বছর ১১ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে।আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষাটি মোট ১৫০ নম্বরে হবে।অনলাইন আবেদনের পোর্টালে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আজ বৃহস্পতিবার অনলাইন আবেদনের শেষদিন।
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, ১১ হাজার শুন্য পদের নিয়োগ হবে। প্রায় পাঁচ বছর পর ফের টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, পরীক্ষার পর স্কুটিনি ও ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে যোগ্যপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। ইন্টারভিউ এর ভিডিওগ্রাফি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে বলে।দায়িত্ব নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল জানিয়েছিলেন বছর বছর টেট পরীক্ষা হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে টেট পরীক্ষা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
টেট দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হতেই সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে টেট পরীক্ষা নিতে হবে। তবে, সেপ্টেম্বর না হলেও ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।