সোমবার সকালে পুরুলিয়ার বেলগুমা পুলিশ লাইন থেকে স্পেশ্যাল হোমগার্ড এবং তাঁর ছেলের জোড়া দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছড়ায় উত্তেজনা। এই ঘটনায় হকচকিয়ে গেছেন পুলিশকর্তারাও।
জানা যাচ্ছে, ওই হোমগার্ড নিজের ছেলেকে খুন করে তারপর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই স্পেশ্যাল হোমগার্ড নাকি আত্মহত্যার আগে স্ত্রীকেও খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দুই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন ওই হোমগার্ড, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশি সূত্রে খবর মৃত ওই স্পেশাল হোমগার্ড হেমন্ত হেমব্রম ওরফে বুড়ু এবং তাঁর স্ত্রী চম্পা আড়শার পুরুলিয়ার তানাসি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। একসময় তাঁরা মাওবাদীদের অযোধ্যা স্কোয়াডের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আর স্কোয়াডে থাকাকালীন সময় থেকেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ২০১৩-১৪ সালে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন দু`জনে। আত্মসমর্পণ করার পর স্পেশ্যাল হোমগার্ড পদে চাকরিও পান দু’জনে। তারপর থেকেই তাঁরা নাবালক সন্তানকে নিয়ে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিশ লাইন আবাসনে থাকতেন ।
সূত্রের খবর, স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। হেমন্তের স্ত্রী চম্পা দাবি করেছেন, রবিবার সন্ধ্যাতেও স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁর। সেই সময় সামনেই ছিল তাঁদের বছর ছয়েকের সন্তান সন্দীপ হেমব্রম। হঠাৎই নিজের সন্তানকে গলা টিপে ধরে ওই হোমগার্ড। এরপর চম্পাকেও খুনের চেষ্টা করে সে। তবে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন চম্পা। প্রতিবেশীদের ডেকে নিয়ে ফিরে এলে তিনি দেখেন গলার নলি কেটে আত্মহত্যা করেছেন হেমন্ত।
- TAGS
- Purulia
- murder
- crime
- home guard