1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

বাড়িতে জোরে গান বাজিয়ে পরিবারের ৪ সদস্যকে নির্মমভাবে খুন করল কিশোর! গ্রেফতার অভিযুক্ত

আত্রেয়ী সেন

নভেম্বর ৬, ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

বাড়িতে জোরে গান বাজিয়ে পরিবারের ৪ সদস্যকে নির্মমভাবে খুন করল কিশোর! গ্রেফতার অভিযুক্ত / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নেশার প্রতি আসক্তি থেকে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল কিশোর। নবম শ্রেণির ছাত্র কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল মা, ছোট বোন, দাদু এবং এক আত্মীয়াকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার কমলপুরের দুরাই শিববাড়ি পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, শনিবার স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন দেবনাথের বাড়িতে পুলিশ যায়। সেখানে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায়, ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্তের দাগ। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় রক্তমাখা কুড়ুল। সেই সঙ্গে নিখোঁজ ছিলেন ঘরের চারজন সদস্য। এরপরই বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধার হয় পরিবারের নিখোঁজ চারজনের দেহ।

মৃতরা হলেন, হারাধন দেবনাথের বাবা বছর সত্তরের বাদল দেবনাথ, স্ত্রী সবিতা দেবনাথ (৩৫), ছোট মেয়ে সুকর্ণা দেবনাথ (১০)। এই তিনজনের রক্তাক্ত এবং ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার একই ঘর থেকে উদ্ধার হয়। অন্যদিকে, পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয় আত্মীয়া, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রেখা দে’র (৪৫) ক্ষতবিক্ষত দেহ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, হারাধনবাবুর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্রটি তাঁদের খুন করেছে বলেই অভিযোগ।

প্রতিবেশীদের দাবি, শনিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ বাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে গান বাজাচ্ছিল ওই কিশোর। সেই সময় আচমকাই তাঁদের বাড়ি থেকে চিৎকার-সহ বিভিন্ন ধরনের শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তৎক্ষণাৎ তাঁরা বিষয়টি হারাধনবাবুকে জানান। এরপর তিনিই পুলিশে খবর দেন। অভিযোগ, জোরে গান বাজিয়ে মা, বোন ও দাদুকে খুপিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত কিশোর। আর সেই সময় ঘরে অপর আত্মীয়া রেখা দে জল খাবার জন্য ঢোকে। খুব সম্ভবত প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকেও খুন করে নবম শ্রেণির নাবালক ওই পড়ুয়া। এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রবিবার হালহালি বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ৪ জনকে খুন করার বিষয়টি স্বীকার করেছে অভিযুক্ত নাবালক। উল্লেখ্য, খুনের সময় বাড়িতে ছিলেন না হারাধনবাবু।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত কিশোরের বাবা হারাধনবাবু একটি দোকানে কাজ করেন। কিন্তু ওই কিশোর বাড়িতে টাকার জন্য প্রায়শই অশান্তি করত। নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল ওই নাবালক। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই কিশোর মোবাইল গেম খেলতে গিয়ে কমপক্ষে চল্লিশ হাজার টাকা নষ্ট করে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন