বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এককথায় অতীব ভয়ঙ্কর ঘটনা। বছর ১৩-র এক নাবালিকাকে বিগত ৮ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে ৮০ জনের বিরুদ্ধে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার বিভিন্ন যৌনপল্লিতে ঘুরিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই, ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছে প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে গুনটুর থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ধর্ষণের ঘটনায় ৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত তাদের মধ্যে অনেকেই যৌনপল্লির মাথা, ৩৫ জন সাগরেদ এবং বাকি ধৃতরা যৌনপল্লিতে আসা-যাওয়া করা লোকজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের জুন মাসে। সে সময় করোনা আক্রান্ত হন নির্যাতিতা ওই নাবালিকার মা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার মায়ের। ওই হাসপাতালেই স্বর্ণকুমারী নামে এক মহিলার সঙ্গে নাবালিকার পরিচয় হয়।
নাবালিকার অভিযোগ, ওই মহিলাই কিশোরীকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ির থেকে দূরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়।
২০২১-এর আগস্ট মাসে ওই নাবালিকার বাবা মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হন। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। এরপর এবছরের জানুয়ারিতে প্রথম এই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়। চলতে থাকে তদন্ত। একে একে গ্রেফতার হতে থাকে।
এরপর মঙ্গলবার দশের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন বি টেক পড়ুয়াও সামিল রয়েছে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর নাবালিকার খোঁজ মেলে গুন্টুরে। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। দিকে, অভিযুক্ত ৮০ জনের মধ্যে ৭৪ জনকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করলেও এখনও ৬ জন পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট কে সুপরজা জানিয়েছেন, ‘মেয়েটির বয়স ও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বহু গ্যাং তাকে কিনে নিয়ে নানা এলাকার যৌন পল্লিতে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপরে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। বাধ্য করা হয় পতিতাবৃত্তি করতে।’
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকেই গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। তল্লাশি জারি রয়েছে। এই ঘটনায় একটি গাড়ি, ৫৩টি সেলফোন, তিনটি অটো ও বাইক ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিজয়ওয়াড়া, হায়দরাবাদ, নেল্লোর থেকে।