বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চায় স্ত্রী। কিন্তু স্বামীর ছিল তাতে ঘোর আপত্তি। সেই আপত্তির কথা নিজের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী স্ত্রীকে বলেওছিল স্বামী। কিন্তু স্ত্রী কোনোভাবেই সেই নিষেধ মানতে রাজি নয়। তাই স্বামীর বারণ উপেক্ষা করেই পরীক্ষা দিচ্ছিল স্ত্রী। সে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল। এটাই ছিল তার অপরাধ। আর সেই অপরাধেরই মাশুল দিতে হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী স্ত্রীকে।
আজ ছিল মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা। এদিকে, আজই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার হতে হল এক ছাত্রীকে। বর্তমানে ওই ছাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকায় গোপালপুর গ্রামে বাপের বাড়ি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। ওই একই থানার অন্তর্গত সরদা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই পরীক্ষার্থীর। এই দম্পতির কয়েক মাসের এক শিশুসন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর মেয়েটি আটগ্রাম হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। এবার তার মাধ্যমিক পরীক্ষার আসন পড়ে বীরভূমের নলহাটি গার্লস হাইস্কুলে।
অভিযোগ উঠেছে যে, আজ বীরভূমের নলহাটি এলাকার গার্লস হাইস্কুলে এদিন শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়েই অ্যাসিড হামলার শিকার হয় ওই ছাত্রী। জানা গিয়েছে, স্কুলে পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময়ই অভিযুক্ত স্বামী রাজেশ শেখ তার উপর অ্যাসিড হামলা করে। এও জানা গিয়েছে যে, অ্যাসিড হামলার আগে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তিও হয় রাজেশ শেখের। এরপরই হামলা চালায় সে। এই ঘটনার পর, ওই স্কুলের শিক্ষক এবং স্থানীয়রাই তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নলহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, ঘটনার পর, পুলিশ রাজেশ শেখকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তাঁদের মেয়েকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে নিষেধ করেছিল রাজেশ। কিন্তু স্বামীর বারণ শোনেনি মেয়ে। বাপের বাড়ি থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিল ওই ছাত্রী। এরপর আজ পরীক্ষার শেষ দিনে এই অ্যাসিড হামলা চালায় রাজেশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেশ শেখের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওই আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবার।