বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মঙ্গলবার বিকেল, আমচকাই থানার হাজির এক নাবালিকা। অঝোরে কান্নাকাটি শুরু করে সে। কিছুতেই থামার নাম নিচ্ছিল না। কোনও মতে বুঝিয়ে পুলিশ তার কান্না বন্ধ করে এবং জানতে চায়, তার এভাবে কান্নার কারণ কী? উত্তরে যা বলে মেয়েটি, তাতে চক্ষু চড়কগাছ থানার অফিসারদের। চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরল মেয়েটি পুলিশ অফিসারদের সামনে।
মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাশিপুর থানার পোলেরহাট অনন্তপুর এলাকায়। অভিযোগে জানায় যে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করত এক ব্যক্তি। এই জঘন্য কাজের প্রতিবাদ করলে স্ত্রী-সহ মেয়েকে বেধড়ক মারধর করত ওই ব্যক্তি। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত। আর প্রাণের ভয়ে মুখ বন্ধ রেখে সবকিছু সহ্য করত মা এবং মেয়ে উভয়েই। দিনের পর দিন এইভাবেই বাবার বিকৃত যৌন লালসা নীরবে সহ্য করতে থাকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এদিকে, মেয়ে যাতে গর্ভবতী হয়ে না যায় সেজন্য, মা মেয়েকে গর্ভ নিরোধক ওষুধ এনে খাওয়াত।
অবশেষে মঙ্গলবার ওই নির্যাতিতা নাবালিকা মেয়ের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। আর সে চুপ করে অত্যাচার সহ্য করতে পারেনি। প্রতিবাদের রাস্তাকেই বেছে নেয় নাবালিকা। সেই জন্যই মঙ্গলবার বিকেলে কাঁদতে কাঁদতে কাশিপুর থানায় জাহির হয় সে। পুলিশ তার কান্না থামিয়ে তার সব কথা শোনে।
এরপর পুলিশ প্রথমে তার মাকে থানায় ডেকে পাঠায়। ওই নাবালিকা এবং তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের বুঝিয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেয় পুলিশ। তাঁদের সাহায্যেই অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মা ও মেয়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে, কাশিপুর থানার পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাশিপুর থানার পোলেরহাটের অনন্তপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার অর্থাৎ আজ অভিযুক্তকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। আদালতে নাবালিকা ক্লাস নাইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত বাবা। এমনটাই জানা গিয়েছে।