বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে জ্বালানির মূল্য। এই মুহূর্তে তা কমার কোনও লক্ষণই নেই। সোমবার রাতে ফের বাড়ল জ্বলানির দাম। পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৮৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮০ পয়সা। এই নিয়ে ১৫ দিনে ১৩ বার বাড়ল জ্বালানির দাম। এ রাজ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নয়া দাম কার্যকর হয়েছে।
কলকাতায় এই মুহূর্তে পেট্রোলের নয়া দাম হয়েছে লিটার প্রতি ১১৪ টাকা ২৮ পয়সা। আর ডিজেলের দাম বেড়ে লিটার প্রতি হয়েছে ৯৯ টাকা ০২ পয়সা। কলকাতায় ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি না করলেও, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় একশোর গণ্ডি টপকে গিয়েছে ডিজেলের দাম। যেমন এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রামে এক লিটার ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ০৮ পয়সা। আলিপুরদুয়ারে সেঞ্চুরি করেছে ডিজেলের দাম। এই জেলায় ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৪ পয়সা। এর জেরে ডিজেলে চালিত গাড়ির চালকরা ক্ষুব্ধ। কেউ কেউ বলছেন যে, ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি রাস্তায় আর নামানো সম্ভব নয়। আবার তেলের ডিলাররা বলছেন, দাম বাড়ায় বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের আরও একটি জেলা কোচবিহারে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম হয়েছে ১০০ টাকা ০৫ পয়সা। ডিজেলের দাম বাড়ায় সমস্ত পণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে টান পড়ার সম্ভবনা থাকছে।
কিন্তু চলতি বছরে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই ফের বাড়তে শুরু করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শুধু পেট্রোল ডিজেলেই নয়, বেড়েছে রান্নার গ্যাসেরও দাম। এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। যার প্রভাব ভারতেও পড়তে শুরু করেছে। এই কারণেই বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে তেল সংস্থাগুলি বলছে, অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়াতে তারা বাধ্য হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, আগামী দিনেও এই দাম বাড়ার ধারা জারি থাকবে। এর জেরে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে চলেছে। তবে, ইচ্ছে করলে সরকার কর কমিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে সাধারণ মানুষকে।
জ্বালানীর এই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেই এ দেশে জ্বালানীর দাম বেড়েছে। দুই দেশ সংঘর্ষে জড়ালেও, বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়েছে। এই যুদ্ধের কারণেই জ্বালানীর দাম বেড়েছে। জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার বলেও সম্প্রতি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।