বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। গতকালই ইউক্রেনের খেরসন শহরের দখন নিয়েছে রুশ সেনা। ক্রমাগত হামলা হয়েই চলেছে কিয়েভ এবং খারকিভের উপর। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ইতিমধ্যেই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। পাশাপাশি খারকিভের উপরও লাগাতার বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল ও ভয়ঙ্কর হচ্ছে।
এদিকে, অশোধিত তেলের বৈশ্বিক মূল্য অনুসারে, বর্তমান নীতির ভিত্তিতে টেল কোম্পানিগুলি পেট্রল এবং ডিজেলের খুচরো হারে পরিবর্তন আনে। কিন্তু রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে। কিন্তু বিগত প্রায় ৪ মাস ধরে দেশে পেট্রল ও ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কিন্তু এবার এই যুদ্ধের আবহে অপরিশোধিত তেলের দাম সাত বছরের সর্বোচ্চ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই পেট্রোল-ডিজেলের দামে যুদ্ধের প্রভাব আরও বেশি করে লক্ষ করা যাবে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনের হামলার পর ২০১৪ সালের পর, এই প্রথমবার মতো অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এদিকে, এটা এটা এড়াতে অনেক দেশ স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভের সাহায্য নেয়। তা সত্ত্বেও অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। বুধবার, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বিশ্ব বাজারে ব্যারেল প্রতি ১১০ ডলার পার করেছে।
এই কারণেই দ্রুত ভারতে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম বাড়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কিছু দিনের মধ্যেই পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৩০ টাকারও বেশি বাড়তে পারে। রুশ আক্রমণের কারণে এই মুহূর্তে ইউক্রেন পুরোপুরি বিধ্বস্ত। গত বছরের ২ ডিসেম্বর, অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৭০ ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু বর্তমানে তা ব্যারেল প্রতি ১১০ ডলার অতিক্রম করেছে। এরপরেও দিল্লিতে ডিজেল-পেট্রোলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। কেন্দ্র সরকার গত বছরের ১ ডিসেম্বরই পেট্রোল ও ডিজেলের উপর ভ্যাট কমিয়েছিল। এরপর থেকে রাজধানীতে পেট্রোল-ডিজেলের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ১ ডিসেম্বর থেকে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ৫৭ শতাংশেরও বেশি। কিন্তু দেশের বাজারে দামের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কিন্তু সরকারি তেল সংস্থাগুলি যদি একইভাবে পেট্রলের দাম বাড়ায়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পেট্রল ও ডিজেলের দামও বাড়তে পারে, তাও ৩০ টাকা পর্যন্ত। যদিও এখনও এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
অন্যদিকে, আগামী ৭ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের ভোট হবে। এই পরই জ্বালানির দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের পরই সরকারি তেল কোম্পানিগুলো দ্রুত পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়াতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।