ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়, ঝড় বৃষ্টির কারণে আবহাওয়ায় হালকা ঠান্ডা ভাব থাকলেও গরম কিন্তু ভালোই রয়েছে। দরজা-জানলা বন্ধ করলেই চালাতে হচ্ছে পাখা। আর এবার শুরু হতে চলেছে এসি চালানোর দিন। কারণ মার্চ-এপ্রিল মাসের মারাত্মক গরমে এসি ছাড়া প্রাণ যে যায় যায়।
তবে এসি চালালেই তো হলো না তারপরে মাস গেলে যে মোটা বিল আসবে সেটা তো নিজেদের পকেট থেকেই যাবে। অর্থাৎ পকেটের উপর চাপ পড়ার দিন আসছে। জানেন কি যদি দেড় টনের এসি দেড় ঘন্টা ধরে চালানো হয় তাহলে ঠিক কত টাকা মতো বিল আসতে পারে?
সাধারণত মধ্যবিত্ত বাড়িতে দু ধরনের এসি দেখা যায় একটা স্প্লিট এসি, অন্যটা উইন্ডো এসি। যদিও স্প্লিট এসির সংখ্যাই এখন বেশি উইন্ডো এসির তুলনায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন এসিতে কতটা বিল আসতে পারে। কতক্ষণ চালালেই বা কতটা বিল আসে।
ঘরের আয়তন বা এসির ওজন কতটা নির্ভর করে বিদ্যুতের বিলের ওপর! বাইরে এবং ভেতরের তাপমাত্রা ঠিক কতটা হলে বিদ্যুতের বিল কেমন হয় চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, দেড় টনের স্প্লিট এসি যদি আট ঘন্টা টানা চালানো যায় তাহলে ৮০% বিদ্যুৎ খরচ হয়। অর্থাৎ ৭০০মেগা ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুতের খরচ হয়।
সেটাই যদি আপনি আট ঘন্টার পরিবর্তে চার ঘন্টা চালান তাহলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। তিন ঘন্টা চালালে তা কমে দাড়াবে ২০০ মেগা ওয়াটে। এসি যদি পুরনো হতে থাকে তাহলে বাড়তে থাকে মেগা ওয়াটের খরচ। পুরনো এসি ৮ ঘন্টা চললে দু হাজার থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। প্রতিদিন টানা ৮ ঘন্টা এসে চললে বিদ্যুতের খরচ চার-পাঁচ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। যার মাসিক খরচ দাঁড়ায় হাজার টাকা মতো। তবে সার্ভিসিং না করানো পুরনো এসির ক্ষেত্রে তার খরচ কিছুটা হলেও বাড়তে পারে।