বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খুবই জটিল। শান্তি নামক জিনিসটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মধ্যে বজায় নেই। হাসিনা (Sheikh Hasina) পরবর্তী মৌলবাদীদের দখলে চলে গেছে বাংলাদেশ। নাম নিশ্চিহ্ন হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman)। বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কারণে ইতিমধ্যেই আমেরিকা থেকে সাহায্য পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সব ক্ষেত্রেই আমেরিকা থেকে মোটা টাকার সাহায্য পেত বাংলাদেশ। কিন্তু হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের অরাজকতার কারণে বাংলাদেশের উপর থেকে হাত তুলে নিয়েছে হোয়াইট হাউস। ভারতকে নিজেদের শত্রুদেশ মনে করলেও এখনও ভারতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রশাসন।
এই যেমন বিদ্যুৎ। ঝাড়খণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group ) দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। দুটি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে যথাক্রমে ৮০০ করে ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে দেওয়া হতো। যদিও বিদ্যুতের বিল কিছুতেই মিটিয়ে উঠতে পারছিল না বাংলাদেশ বকেয়ার পর জমছিল বকেয়া। আর সেই কারণেই ৩১শে আগস্ট এর পর থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় আদানি গোষ্ঠী। দুটির পরিবর্তে একটি উৎপাদন কেন্দ্রকে সচল রেখেছিল আদানি।
এরপর আসে শীতকাল যথারীতি কমে বিদ্যুতের চাহিদা। তবে এবার ফের আদানী গোষ্ঠীর কাছে ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুতই চেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এখনও বাংলাদেশের তরফে পূর্বতন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। মাসে মাসে সেই বিল মেটাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদ রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা বকেয়া টাকা মেটাতে প্রতি মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৩৭ কোটি টাকা করে দিচ্ছে আদানি গোষ্ঠীকে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে কোনও জিনিসের দাম গগনচুম্বী। নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা আদানি গোষ্ঠীকে অনুরোধ করেছিল, ভারতে যে পরিমাণ কর ছাড় পায় আদানি, সেই ছাড়ের সুবিধা যেন দেওয়া হয় বাংলাদেশকে। আর বাংলাদেশকে সেই ছাড় দিতে নারাজ আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কিন্তু কোনও রকম বাড়তি কর ছাড় বা ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে না।