এই মুহূর্তে কলকাতা সেজে উঠেছে। বিশেষ করে নিউ টাউন চত্বর। কারণ এই মুহূর্তে চলছে অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বাংলায় এই মুহূর্তে এসেছেন একাধিক নামিদামি শিল্পপতি। লক্ষ্য বাংলায় বাণিজ্য। আর এই শিল্পপতিদের অন্যতম হলেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি।
এমনিতে মমতা ব্যানার্জির ভীষণ ঘনিষ্ঠ রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার। তার কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের বিয়েতেও হাজির হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। আর এদিনও বাংলায় বাণিজ্য করতে এসে মমতা ব্যানার্জির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমাদর করে তিনি বলেন, ‘মমতা মানেই হল সহানুভূতি। আর দিদি মানে, অবিশ্রান্ত নেত্রী।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন মমতা ক্ষমতায় আসার পর বাংলায় নবজাগরণ ঘটেছে। ‘বেঙ্গল মিন্স বিজনেস’ অষ্টম বাণিজ্য সম্মেলনের এটাই নাম। আর আজই হয়ে গেল উদ্বোধন। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভোকেশন সেন্টারে চলছে এই সম্মেলন।
বাংলায় ব্যবসার সুযোগ কতটা সেই সমস্ত খতিয়ে দেখতে এসেছেন বিভিন্ন নামিদামি ব্যক্তিত্বরা। তথ্য প্রযুক্তি থেকে চামড়ার শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প থেকে টেক্সটাইল, কৃষিভিত্তিক পণ্য থেকে কুটির শিল্প, এমনকি পর্যটন সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে সব ক্ষেত্রই। এছাড়াও কথা হচ্ছে এ আই হাব নিয়েও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে মুকেশ আম্বানি বলেন আমি ২০১৬ সাল থেকে এই বিজনেস সামিটে আসছি। প্রত্যেক বছর ভাবি এই বছর এই সমিটে আলাদা কী হবে? কিন্তু এসে প্রত্যেক বছর চমকে যাই। তিনি আরও বলেন আমি দেশের পশ্চিম প্রান্তে থাকি। যা ব্যবসার জায়গা। কিন্তু দ্রুত সেটার অবস্থা বদল হচ্ছে। রিলায়েন্স গোষ্টীর কর্ণধার বলেন, বাংলা মানে মমতা দিদি, মমতা দিদি মানে বাংলার ব্যবসা। তিনি বলেন, এখানে ৫০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আমরা করেছি। আমরা এক লক্ষ সরাসরি কর্মসংস্থান করেছি। বাংলায় এখন ১০০% কভারেজ দিচ্ছে জিও।